ওষুধ সেবন, কিংবা ক”নডমসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যেকোন পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি ভালভাবে জানা থাকলে এর জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ারও দরকারহয় না। মেয়েদের মাসিক ঋ’তুচ”ক্র প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস হিসেবে ধরা হয়। এই দিবস গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর মি”ল”নের ফলে স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবে না।
এই নিরাপদ দিনগুলো প্রকৃতিগতভাবেই নির্দিষ্ট। তাই একে প্রা’কৃতিকপরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এটাকে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলাহয়। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋ”তুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো। এ জন্য সবার আগে জানা চাই তার মা”সিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়।
এবার সবচেয়ে কম যতদিন পরপর মা”সিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মা”সিক শুরুর ১ম দিন থেকে ওই দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদদিন।আবার আপনার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর মা”সিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন। ধরুন, আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিন গুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই স”ঙ্গম করা যাবে।
২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাধ স”ঙ্গম করতে পারবেন। তাতে সন্তান গর্ভধারণের সম্ভাবনা নাই। তবে এই উদাহরণে শুধু ১০ ম থেকে ২০ ম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাধ স”ঙ্গম করলে আপনার স্ত্রীর গ”র্ভ”ধারণ করার সম্ভাবনা আছে। উপরে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। তবে হিসাবের জন্য খুব সহজ পদ্ধতি হল, মাসিক শুরুর পর ১ম ৭ দিন আর মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন অবাধ স”ঙ্গ”ম করা নিরাপদ।
মানে, এই সময় মি”লন করলে সন্তান গ”র্ভে আসার সম্ভাবনা নাই। জেনে রাখা ভালো অনিয়মিতভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কার্যকর নয়। এছাড়া প্রাকৃতিক জ’ন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ। সাধারণত মা”সিকের হিসেবে গণ্ডোগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও মি”ল”নের সুযোগ নেয়া বা ঝুঁকি নেয়া, অনিয়মিত মা”সিক হওয়া ইত্যাদি কারণে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে।
তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য ১ম বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিছু পুরুষের শু”ক্রা”ণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এটায় সফল নাও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২ দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন হতে পারে। অনেকে এটাকে Progra’mmed s”e”x বলে একে ঝামেলাপূর্ণ মনে করেন, কিন্ত একবারএতে ‘অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটা বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।