স্বামী-স্ত্রীর মি”ল”নের আবার নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ থাকে না কি? না কি কেবল বিশেষ বিশেষ সময়েই মনে ঘাই মেরে যায় যৌ”ন ইচ্ছে?
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে দুটোর কোনওটাই নয়!
কিন্তু, সমস্যাটা অন্য খানে। ইতিমধ্যেই সমীক্ষায় প্রমাণিত যে দিনের বিশেষ বিশেষ সময়ে ঘড়ি ধরে না”রী এবং পু”রু”ষের শ”রী”র জেগে ওঠে। তাই এটা মোটামুটি গুণে বলাই যায়, দিনের কোন সময়টায় আপনার শরীর তৈরি থাকবে।
তবে, এখন তো আর কথা হচ্ছে না দিন নিয়ে। এখন কথা হচ্ছে সপ্তাহের। ঠিক যে ভাবে এটা বলা যায় যে দিনে কোন সময়ে শ”রী”র জাগবে, তেমনই এটাও বলা যায় সপ্তাহে কোন সময়ে আপনি যৌ”নতা”য় সাড়া দিতে পারেন।
কী ভাবে?
সাম্প্রতিক এক পাশ্চাত্য সমীক্ষা বলছে, সপ্তাহের শুরুটায় কেউই খুব একটা যৌ”নতা”য় সাড়া দিতে পছন্দ করেন না। সারা সপ্তাহান্ত ছুটি কাটানোর পরে সোমবারেও থেকে যায় সেই ছুটির হ্যাংওভার। তখন ক্লান্ত শরীর আর মন নিয়ে কাজে যেতেই হয়। ফলে, দিনের শেষে শরীর আর মন দুটোই আরও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই সমীক্ষায় সিদ্ধান্ত, সোমবারটায় দশের মধ্যে একজন হয়তো সে”ক্স করে থাকেন!
একই ব্যাপার হয় মঙ্গল, বুধ আর বৃহস্পতিবারেও। কাজের মধ্যে ঢুকে গিয়ে তখন আর অন্য দিকে যেমন মন দেওয়ার সুযোগ থাকে না, তেমনই একরাশ বিরক্তি এসে জমা হয়। সব মিলিয়ে ইচ্ছে জাগে না।
তাহলে কবে?
সমীক্ষা বলছে, সে”ক্স করার ইচ্ছে জেগে ওঠে ঠিক শুক্রবার থেকে। শুক্রবার সন্ধের পর কাজ থেকে বেরিয়ে অন্তত ২২ শতাংশ মানুষ সে”ক্স করে থাকেন। শনিবার, বিশেষ করে রাতটায় এই অনুপাত প্রায় একশোর ঘর ছুঁয়ে ফেলে। আর, রবিবারেও তার রেশ চলে। রবিবারটাও রুটিন কাজ শুরু করার আগে সে”ক্সে”র মধ্যে দিয়ে নিজেকে হালকা করে নিতে চান অনেকেই!
মানে, আপনার মোক্ষম সুযোগ আছে শুক্র, শনি বা রবিবারে মিলিত হওয়ার! মনের মানুষটির সঙ্গে। তখন আপনি সব দিক থেকে তৈরি বলে পরম তৃপ্তিটাও কিন্তু থাকবে হাতের নাগালেই!
আপনি এবার বলতেই পারেন, এটা পাশ্চাত্যের সমীক্ষা, আমাদের দেশে খাটবে না। কিন্তু ভেবে দেখুন দেখি, এখন তো আমরা সবাই বিশ্বগ্রামের বাসিন্দা। শনি-রবিবার ছুটি থাকে অনেকেরই। কাজেই হিসেব কেন মিলবে না?
তা ছাড়া, ভারতে যে উইক-এন্ড সে”ক্সে”র চল বেড়েই চলেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক সমীক্ষা প্রকাশিতও হয়েছে।
একবার ব্যাপারটা মিলিয়ে দেখবেন না কি?