দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ এখন বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এদিকে ভারত মহাসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটিও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর। আর নতুন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ‘অশনি’র গতি পাল্টে নিতে পারে ভয়ংকর রূপ।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, টুইন সাইক্লোন বা যমজ ঘূর্ণিঝড় অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে কোনটি বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে বা কোনটির প্রভাব কেমন হবে, সেটাই এখন পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যমজ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনির গতি আরও বেশি হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, সেটি নির্ভর করছে অন্য নিম্নচাপটির শক্তিশালী হওয়ার ওপর।
জানা যায়, নিরক্ষরেখার উত্তরে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আর নিরক্ষরেখার দক্ষিণে দ্বিতীয়টি এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি দ্রুত আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, একদিকে যেমন অশনি জলীয় বাষ্প টানবে আন্দামান সাগর থেকে, অন্যদিকে নতুন নিম্নচাপটি জলীয় বাষ্প টানবে ভারত মহাসাগর থেকে। দুটির মধ্যে বিস্তর টানাটানি হবে। ফলে একদিকে যেমন বায়ুপ্রবাহ পাক খাবে ঘড়ির কাঁটার দিকে, তেমনি অন্যদিকে তা ঘুরবে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতেও। যে বেশি বাতাস টানবে, তারই শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
তবে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা এ বিষয়ে বেশি কিছু জানাতে পারেননি। আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক সানাউল হক মণ্ডল জানান, আপাতত তারা প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি পর্যবেক্ষণ করছেন। ভারত মহাসাগরের নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এবং উপকূলের দিকে এগিয়ে এলে তখন তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। আর এত দূরের ঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশে পড়ার আশঙ্কাও প্রায় নেই।
এদিকে, বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ সোমবারও (৯ মে) শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি দ্রুত শক্তি অর্জন করছে।
এর গতিমুখ এখন পর্যন্ত ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে আছে। তবে এটি যেকোনো মুহূর্তে গতি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এটি যেখানেই আঘাত হানুক না কেন, এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলসহ বেশির ভাগ এলাকায় আগামী বুধবার (১১ মে) থেকে বৃষ্টি হতে পারে।