বর্তমানে সারা বিশ্বের মহিলাদের কাছেই স্ত”ন ক্যা”ন্সা”র একটি আতঙ্কের নাম। আর এর প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ইদানীং ক্যা”নসা”রের প্রচলিত ওষুধে কাজ হচ্ছে না। প্রচলিত বেশির ভাগ কে”মোথেরাপিও এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই স্ত”ন ক্যা”ন্সা”র দিনে দিনে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।
কিন্তু জানেন কি? দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের ভুলে স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৮টি খারাপ অভ্যাসের কথা, যেগুলো স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
• স্ত”নে”র আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করা স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
স্তনের আকারের চেয়ে বড় মাপের বক্ষবন্ধনী স্তনের টিস্যুগুলোকে ঠিকমত সাপোর্ট দিতে পারে না আবার অতিরিক্ত ছোট বা টাইট ব্রা স্ত”নের তরলবাহী লসিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
• সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার কারণে ঘাম হবার অসুবিধে, আর্দ্রতা জমে থাকা, সব মিলে স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ঘরে থাকার সময় টুকুতে ব্রা ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।
• প্লাস্টিকের বক্সে খাবার রাখা এবং বিশেষত সেটিতেই ওভেনে গরম করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতে পারে। এর চেয়ে কাঁচের পাত্র ব্যবহার করুন। আর প্লাস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে তা ফুড গ্রেড কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।
• ঘামের দূর্গন্ধ এড়াতে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন প্রায় সবাই! কিন্তু এই ডিওডোরেন্ট কেনার সময় খেয়াল রাখুন কী কী উপাদান আছে এতে। এলুমিনাম বেসড উপাদান থাকলে তা স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রের ঝুকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ডিওডোরেন্ট যেহেতু আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন, তাই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া বিশেষ জরুরি।
• চুল পেকে যাওয়া বা হাল ফ্যাশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চুলে নানা রঙের ব্যবহার, যেটিই হোক না কেন, দোকান থেকে সস্তার চুলের রং কিনে আনবেন না। এতে চুল তো পড়ে যেতে পারেই, সেই সঙ্গে এতে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণে হতে পারে স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রও। তাই ভালও ব্র্যান্ডের ভেষজ চুলের রং ব্যবহার করুন।
আর সবচেয়ে ভাল হয় মেহেন্দি ব্যবহার করতে পারলে। মেহেন্দি একদিকে যেমন চুলের জন্যে ভাল, সেই সঙ্গে এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
• ঘরের দূর্গন্ধ দূর করতে এয়ার ফ্রেশনারের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু এতে থাকা প্যাথালেট নামক প্লাস্টিসাইজিং রাসায়নিক যা সুগন্ধকে দী”র্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে, তার সঙ্গে স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
এর চেয়ে ফুটন্ত জলেতে এক টুকরো দারচিনি ফেলে দিন। এবার দেখুন, ঘরময় কি সুগন্ধই না ছড়াচ্ছে! আলমারির কাপড়চোপড় পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে নেপথলিন তো আমরা ব্যবহার করেই থাকি। অনেকে আবার বাথরুমের দু”র্গ”ন্ধ এড়াতে বেসিনে, সিঙ্কেও নে”পথলিন ফেলে রাখেন।
কিন্তু এটি পুরোটাই ক্ষতিকর কেমিকেল দিয়ে তৈরী, যা কেবল পোকামাকড়কে দূরেই রাখে না, বরং আপনার স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রের ঝুকিও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। এর চেয়ে নিমপাতা শুকিয়ে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দিন। একই উপকার পাবেন।
রান্নাঘরের সিঙ্ক বা কেবিনেট যে রঙিন তরল ক্লিনার দিয়ে আপনি পরিস্কার করছেন, তাতে থাকা কেমিকেল কেবল আপনার স্ত”ন ক্যা”ন্সা”রই নয়, মাইগ্রেন ও অ্যালার্জির প্রকোপও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কেমিকেলযুক্ত এই ক্লিনার ব্যবহার না করে ভিনেগার বা বেকিং সোডা দিয়ে পরিস্কার করতে পারেন।