শ”রী”রের সবথেকে নোং”রা জায়গা কোনটি?

নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য শরীরের কিছু জায়গায় অহেতুক হাত দেয়া উচিত নয়। তবে সব সময় সেটা খেয়াল রাখা সম্ভব হয় না। ভুলবশত হাত চলে যায় সেসব স্থানে। তবে এই অভ্যাস থাকলে পরবর্তী জীবনে ভুগতে হতে পারে, ডেকে আনতে পারে বিপদ। সে কারণে কখনো শ”রী”রের এই জায়গাগুলোতে হাত দেবেন না ভুলেও।

প্রথমত চোখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকা দরকার। কারণ, আমাদের হাতে যে জীবাণু থাকে, সেগুলো চোখে গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার শ’ঙ্কা রয়েছে। সুতরাং মুখ ধোয়া বা কন্ট্যাক্ট লেন্স পরার সময় ছাড়া চোখে হাত না দেয়া ভালো।

চোখের পরেই কান আমাদের শরীরের স্প’র্শকাতর জায়গা। কানে বেশি হাত না দেয়া ভালো। অযথা অন্য কোনো জিনিস দিয়ে কান পরিষ্কারও করবেন না। এতে কানের পর্দা ছিঁড়ে যাওয়ার শ’ঙ্কা থাকে।

আমাদের হাতে যেহেতু নানা রকম জী”বাণু থাকে। চিন্তার সময় বা দিনের বিভিন্ন সময় মুখে হাত দিলে সেই জীবাণু সোজা পেটে চলে যাওয়ার আশ’ঙ্কা থাকে। যা ডেকে আনতে পারে মা”রাত্মক বিপদ। সে কারণে মুখে হাত ঢুকিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরো পড়ুন
বাসর রাতে স্বামীকে যে ১০টি প্রশ্ন অবশ্যই করবেন, জেনে নিন

প্রেম আর বিয়ে, জীবনের সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি অধ্যায়। একটায় যেমন দায়িত্ব নেই, আছে কেবল আনন্দ। আরেকটায় ঠিক তেমনই আছে ভালোলাগার পাশাপাশি দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টাও।

আর তাই প্রেমের বিয়ে হোক বা পারিবারিক, বিয়ের আগে নিজের হবু স্বামীকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই করা উচিত। বাসর রাতে অথবা বিয়ের আগে হবু স্বামীকে যে ১০টি প্রশ্ন অবশ্যই করবেন, চলুন এবার তাহলে জেনে নিই প্রশ্ন গুলো কি কি:

১)তুমি আমাকে কেনো ভালোবাসো?
এই প্রশ্নটা বলতে গেলে কেউই করেন না। কিন্তু এটাই সবচাইতে জরুরী। কেনো ভালোবাসেন তিনি আপনাকে? প্রথম জবাব যদি হয়-

“তুমি অনেক সুন্দর”… তাহলে দ্বিতীয়বার ভাবুন। একজন মানুষ অনেক সুন্দর বলে তাকে ভালোবাসা আর যাই হোক সততার পর্যায়ে পড়ে না। তাহলে সময়ের সাথে সৌন্দর্য চলে গেলে ভালোবাসাও তখন ফুরিয়ে যাবে।

২) তুমি আমার সাথেই পুরো জীবনটা কাটাতে চাও কেনো?
সেই সাথে নিজেকেও প্রশ্ন করুন- আপনি তার সাথে পুরো জীবন কাটাতে চান কেনো? এবং তারপর মিলিয়ে দেখুন পরস্পরের জবাব। মানসিকতা মিলছে কি?

৩)সন্তানের বিষয়ে তোমার ভাবনা কি?
তিনি সন্তান সম্পর্কে কী ভাবেন, ভালোবাসার ফসল নাকি বংশ বৃদ্ধির হাতিয়ার? তাহার আজকাল সন্তান না হওয়াটাও খুব সাধারণ ব্যাপার। যদি সন্তান না হয় আপনাদের কোন কারণে, যদি কারণ অক্ষমতা থাকে, সেক্ষেত্রে তার মনোভাব কী হবে সেটা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।

৪)তোমার জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা কী?
এই ব্যাপারটাও জেনে রাখাটা খুব বেশি জরুরী। তাহলে আপনি জানতে পারবেন কোন বিষয়গুলোকে তিনি গুরুত্ব দেন আর কোথায় কখনো আপনার উচিত হবে না হস্তক্ষেপ করা।

৫)একদিন আমি এমন থাকবো না দেখতে, তখন কী হবে?
বয়সের ছাপ সবার চেহারাতেই পড়ে। এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেকটা আগে পড়ে। এই প্রশ্নের সৎ উত্তর পাবেন কিনা জানা নেই, তবে প্রশ্নটা অবশ্যই করুন।

৬)যদি কখনো আমার বড় অসুখ হয় তখন তুমি কী করবে?
এই প্রশ্নের জবাব আপনাকে সাহায্য করবে তাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে। কোন ভুল ধারণা থাকবে না মনে।

৭)তুমি কি ওয়াদা করতে পারো যে দাম্পত্যে প্রতারণা করবে না?
এই ওয়াদা কেউ রক্ষা করতে পারবে কি পারবে না, সেটা ভবিষ্যতই বলে দেবে। কিন্তু কেউ যদি জীবনের শুরুতেই এই ওয়াদা করতে গড়িমসি করেন, বাকিটা আপনি নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন।

৮)জীবনের চড়াই উৎরাইতে আমি কোন ভুল করে ফেললেও কি পাশে থাকবে?
পুরো পৃথিবী যদি কখনো বিপক্ষে চলে যায়, একজন মানুষ অন্ধভাবে বিশ্বাস করে ও ভালোবেসে পাশে থাকবে আপনার, পৃথিবীতে এর চাইতে সুন্দর আর কিছুই হতে পারে না। এর চাইতে বেশি নিরাপদও না।

৯)বিয়ের পরও কি আমরা নিজ নিজ স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কাজ করতে পারব?
বিয়ে মানেই জীবন ফুরিয়ে যাওয়া নয়। বিয়ে মানে নতুন একটি অধ্যায়ের শুরু। একটাই জীবন, সকলেরই আজন্ম লালিত কিছু স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নগুলোর কী হবে সেটা আগেই জেনে রাখা ভালো।

১০)আমাদের দাম্পত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে তুমি কী ভেবেছো?
একটু আগেই বললাম, দাম্পত্য মানে একটা নতুন অধ্যায়। আর জীবনের এই অধ্যায়ে চাই প্রচুর পরিকল্পনা।

কোন অগ্রিম পরিকল্পনা ছাড়া দাম্পত্য কখনোই সফল হতে পারে না। আপনারও নিশ্চয়ই কিছু প্ল্যান আছে? তাহলে আগেই জেনে রাখুন হবু স্বামীর পরিকল্পনা।

About reviewbd

Check Also

নারীদের এই ৩টি ভুলে সম্পর্কে ভাঙন ধরতে পারে

প্রেমের জোয়ারে ভাসার সময়ে মনে হয় যেন এই প্রেম চিরন্তন। পৃথিবী ওলটপালট হয়ে গেলেও প্রেমে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *